ছালাম কাকলী : মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে পেন্টার দায়িত্বরত একাউন্টিন অফিসার মহসিন রাকিব ও এডমিন অফিসার শাহি নেওয়াজের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন দিন দিন ফুঁসে উঠছে। বহিরাগতদের এনে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্থানীয় লোকজদের বিরুদ্ধে অসৎ আচরণ করায় মাতারবাড়ীতে উক্ত অফিসার দ্বয়ের বিরুদ্ধে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
মাতারবাড়ী দক্ষিণে কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ১৪শত ১৪একর জমি অধিগ্রহণ করার পর উক্ত প্রকল্পে ১২শত মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৬সাল থেকে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্রকল্পে কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলার বাইরের লোক হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণীর কাজে লোক নিয়োগ দিচ্ছে বহিরাগতদের। এমন কি উক্ত প্রকল্পের ৫শতাদিক শ্রমিক নিয়োগ হলেও মাতারবাড়ী তথা মহেশখালী থেকে মাত্র লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২শতাদিক। অথচ এখানকার শত শত বেকার যুবক কর্ম সংস্থানের সন্ধানে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এলাকার বাহিরে চলে যেতে হচ্ছে। এমন কি বর্তমানে মাতারবাড়ীতে বহু পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষুধার আর্তনাত। অভিযোগ উঠেছে পেন্টায় কর্মরত একাউন্টিন অফিসার মহসিন রাকিব ও এডমিন অফিসার শাহী নেওয়াজ গোপনে বিভিন্ন লোক জন থেকে টাকা নিয়ে বহিরাগতদের নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা উক্ত প্রকল্পে নিয়োগ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরিবারের অন্ন যোগাতে কাজের সন্ধানে দলে দলে এলাকা ছাড়ছে। উক্ত দু’ অফিসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন দিন দিন ফুঁসে উঠছে। এমন কি এ দু’ অফিসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মানবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে একাউন্টিন অফিসার মহসিন রাকিব তার ছোট ভাইকে এনে উক্ত প্রকল্পে ঠিকাদারি পাইয়ে দেয়ার জন্য কয়েক দিন পূর্বে থেকে মাতারবাড়ীতে নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে পেন্টার একাউন্টিন অফিসার মহসিন রাকিব থেকে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঠিকাদারি দেয়ার জন্য আমার কোন ভাইকে মাতারবাড়ীতে আনা হয়নি।
অপর দিকে তিনি আরো জানান, লোক নিয়োগ দেয়ার আমার কোন ক্ষমতা নেই। টাকা নিয়ে লোক নিয়োগ দেয়া বিষয়টি সত্য নয়। লোকজন আমার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলে আমার করার কিছুই নেই। অন্য দিকে এডমিন অফিসার শাহী নেওয়াজ থেকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করলে বার বার তার মোবাইল ফোন কেটে দেয়া উক্ত অফিসারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: